ব্যক্তিগত নানা তথ্য অবাধে আমরা ইন্টারনেটে দিয়ে যাচ্ছি। এগুলোর সুরক্ষার বিষয়ে ব্যবহারকারীরা মোটেই সচেতন নন। নানাভাবে ব্যক্তিগত তথ্যগুলোর অপব্যবহার হয়। সাইবার অপরাধীরা আপনার তথ্য ব্যবহার করে অপকর্ম করতে পারে এবং সেটির কুফল আপনাকে ভোগ করতে হবে। সচেতনতার মাধ্যমেই কমপক্ষে অর্ধেক পরিমাণ সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব।
ইন্টারনেট ও ডাটা সংযোগ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান একসেসটেল এর আয়োজনে সোমবার ( ১৭ ফ্রেরুয়ারি) রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘ সাইবার সিকিউরিটি সল্যুশন’ নামে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, সাইবার অপরাধের শিকার হয়ে থানা-পুলিশে দৌড়াদৌড়ি করে অনেকে হয়রান হয়ে যান। আদালত কিংবা পুলিশ প্রশাসন অপরাধীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু ভুক্তভোগী হয়ে ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে যেই ধরনের ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তা পূরণ করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সচেতনতাই মূল বিষয়। তাই নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহারে সচেতন হওয়া জরুরি।
সেনিনারে উপস্থিত ছিলেন, একসেসটেল এর টেকনিক্যাল প্রধান মিজানুর রহমান, এফ পি টি ইনফরমেশন সিস্টেম এর সাইবার সিকিউরিটি বিভাগের পরিচালক ফ্যাম টুং ডং এবং ইসলামি ব্যাংকের উপ মহা ব্যাবস্থাপক তাহের আহমেদ চৌধুরী।
সেমিনারে সরকারি-বেসরকারি ৩৫ টি ব্যাংক কর্মকর্তা ও ২৫ টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।